শীত-কুয়াশা-ঠান্ডার প্রকোপে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, আছে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস

প্রকাশকালঃ ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:২৮ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
শীত-কুয়াশা-ঠান্ডার প্রকোপে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, আছে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

অগ্রহায়ণের শেষ ভাগে এসে কুড়িগ্রামে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। তবে দিনের চেয়ে রাতে শীতের অনুভূতি বেশ তীব্র। সকাল থেকে দিনভর সূর্যালোকে দিনের তাপমাত্রা সহনীয় থাকলেও সন্ধ্যার পরপর শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। উষ্ণ কাপড় ছাড়া রাতের বেলা বাইরে বের হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। মধ্য ডিসেম্বরের পর জেলার মধ্য দিয়ে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
 


রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, জেলায় দিন-রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান বেড়েছে। ফলে দিনের চেয়ে রাতে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
 


এদিকে, পৌষ মাস শুরুর আগেই কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকছে চারপাশ। দিনে স্বাভাবিক পোশাক পরিধান করে বের হওয়া গেলেও সন্ধ্যা নামতেই উষ্ণ পোশাক পরতে হচ্ছে। রাতের ঘুমে নিত্যসঙ্গী কম্বল কিংবা লেপ।
 


শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করলেও শীতজনিত রোগের প্রকোপ তেমন শুরু হয়নি। হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
 


হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আল-আমিন মাসুদ বলেন, ‘শীতজনিত রোগের তেমন প্রকোপ নেই। রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক। তবে এই শীতে শিশুদের সুরক্ষায় বাড়তি যত্ন নেওয়া উচিত।’
 

 

‘শিশুদের নিয়ে ঠান্ডায় বাইরে ঘুরতে যাবেন না। শিশুকে সকালে ঘর থেকে দেরিতে বের করবেন। ঠান্ডা এড়ানোর জন্য উষ্ণ কাপড় পরাতে হবে।’ অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন এই চিকিৎসক।
 


রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘২ ডিসেম্বর জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের পর জেলায় দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।’