শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:-
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পৌর বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত কাউন্সিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন—পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলী বাবু, দলের কর্মী আনোয়ার-উস সাহাদাৎ মিঠু, আশরাফ বাবু, লিয়াকত আলীর জামাতা সাদিকুল ইসলাম তোহা, তার বেয়াই ডা. নজরুল ইসলাম এবং কলেজ ছাত্রদলের সদস্য আশিক হোসেন।
সাবেক আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশে অংশ নেওয়া কিছু ব্যক্তি এবং সাধারণ মানুষকে বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর করা হয়েছে। শুরুতে আপত্তি জানালে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, বিতর্কিতদের কাউন্সিলর করা হবে না। কিন্তু হঠাৎ শুক্রবার কাউন্সিল আহ্বান করে তাদেরকেই ভোটাধিকার প্রদান করা হয়। এতে তারা প্রতিবাদ জানালে জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ ও আশেক-ই এলাহী মুন্নার উসকানিতে তাদের ওপর হামলা হয়। এই সংঘর্ষ হয় নকিপুর এইচসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য আশেক-ই এলাহী মুন্না বলেন, ৮নং ওয়ার্ডে ভোটার তালিকায় সিরিয়াল ঠিক না থাকায় ভোটগ্রহণে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময় লিয়াকত আলী বাবু ও তার সমর্থকরা কক্ষে ঢুকে জাল ভোটের অভিযোগ তুলে ভোট বন্ধের দাবি জানান এবং সভাপতি প্রার্থী আব্দুল গফ্ফার খান ঝুনুর ছেলে মোনাজাতকে মারধর করেন। এ ঘটনা ঘিরে কেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঝুনু খান ও মফিজুর খানের অনুসারীদের মধ্যে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।