আটককৃতরা হলেন—খুলনার কয়রা উপজেলার ইমানপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) এবং দাকোপ উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে আযহারুল ওরফে খানজাহান (৩৬)।
পুলিশ জানায়, আটক দুইজনের কাছ থেকে একটি লোহার ট্রিগার সদৃশ দণ্ড, ছোট-বড় ২২টি স্প্রিং এবং একটি কুড়ালসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
বিল্লাল এর আগেও সুন্দরবনের কুখ্যাত দাদাভাই বাহিনীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় ছিল। প্রায় ১০ মাস আগে সে কোস্টগার্ডের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে কারাগারে যায় এবং জামিনে বের হয়ে আবারও দস্যুতায় জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও সোনাডাঙা থানায় একাধিক অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা রয়েছে।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন,
“শুক্রবার রাতে বিল্লাল ও আযহারুল কাশির খেয়াঘাট হয়ে কপোতাক্ষ নদ পার হয়ে গাবুরা এলাকায় আসে। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেয়। তল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি চলছে।”
স্থানীয় বনজীবীরা জানান, গত এক বছরে সুন্দরবনে আলিম বাহিনী, দুলাভাই বাহিনীসহ তিনটি নতুন দস্যু দল সক্রিয় হয়েছে। বিল্লাল ও আযহারুল দাতিনাখালীর জলদস্যু জাহাঙ্গীরের আস্তানায় যাওয়ার পথে ধরা পড়ে। তারা আগেও “দাদাভাই বাহিনী” নামে দস্যুতা চালাত। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন করে অস্ত্র তৈরি করে সুন্দরবনে দস্যুতা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা।
তবে আটক আযহারুল দাবি করেন, বিল্লাল তাকে কাজের কথা বলে সেখানে ডেকে এনেছিল। অন্যদিকে বিল্লাল জানায়, সে যশোরে কাজের সন্ধানে যাচ্ছিল। তবে তাদের কাছ থেকে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ২০ প্যাকেট সিগারেটের বিষয়ে তারা কোনো স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেনি।