“যে নেতার নামে স্লোগান দেবেন, সেই নেতা মাইনাস হবে” — মির্জা ফখরুল

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০:২০ অপরাহ্ণ   |   ৩৪ বার পঠিত
“যে নেতার নামে স্লোগান দেবেন, সেই নেতা মাইনাস হবে” — মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি এমন একটি দল, যা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে এ অবস্থানে এসেছে। এটি সহজে তৈরি হয়নি বা হঠাৎ করে ক্ষমতায় আসেনি। একাত্তরে বিভিন্ন অবস্থান নেওয়া দলগুলো, এমনকি নতুন রাজনৈতিক শক্তিরা পর্যন্ত বিএনপিকে নিয়ে কথা বলে। তিনি বলেন, বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো, যা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়েছে।
 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
 

তিনি আরও বলেন, “কোনো নেতার নামে স্লোগান নয়। স্লোগান হবে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে। যে নেতার নামে স্লোগান দেবেন, সেই নেতা মাইনাস হবে।”
 

মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপবাদ চালানো হচ্ছে। তবে এই দলের নেতৃবৃন্দ দেশের জন্য বহু ভালো কাজ করেছে। একাত্তরের সংগ্রাম ও ১৯৭৫ সালের নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যারা দেশ ও গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেছেন, আজ তাদেরই নেতৃত্বে বিএনপি আবার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি দেশবাসীকে বিএনপির পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
 

তিনি বলেন, “আজকের গণতন্ত্রের যে কথা বলা হচ্ছে, তার ভিত্তি রেখেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে এই পরিবেশে বিএনপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারছে। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও অভ্যুত্থানকারীদের অভিনন্দন।”
 

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের সম্মেলন সাধারণ নয়। এটি ১৫ বছর পর অজস্র নেতাকর্মীর ত্যাগের মাধ্যমে পাওয়া সুযোগকে কাজে লাগানোর সম্মেলন।”
 

সম্মেলন শুরু হয় জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল করে স্টেডিয়ামে পৌঁছান। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ২,০৯০ জন কাউন্সিলর ভোটে অংশ নিয়ে জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন।
 

প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, এবং প্রধান বক্তা ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল