ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার (ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ড) এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক প্রধানরা, পাশাপাশি এ কে খন্দকারের পরিবারের সদস্যরা।
জানাজার আগে মরদেহ নিয়ে পল বেয়ারারা ধীরগতিতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। পরে এ কে খন্দকারের জীবনবৃত্তান্ত উপস্থাপন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে জাফরুল করিম খন্দকার বক্তব্য দেন।
নামাজের পর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজার শেষ পর্বে মরহুমের সম্মানে ফ্লাইপাস্ট (সম্মানজনক ফ্লাইট) অনুষ্ঠিত হয়।
আইএসপিআর জানায়, এ কে খন্দকার শনিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এ কে খন্দকার ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) থেকে কমিশন (পাইলট অফিসার) লাভ করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ফাইটার পাইলট হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে পাকিস্তান এয়ার ফোর্স একাডেমিতে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৮ সালে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত পিএএফ একাডেমিতে স্কোয়াড্রন কমান্ডার এবং ১৯৬৫ পর্যন্ত জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৬ সালে ট্রেনিং উইংয়ের অফিসার কমান্ডিং হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালের আগ পর্যন্ত পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং পরে ঢাকায় পিএফ বেইসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।