ঢাকা প্রেস নিউজ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, "নির্বাচনই জনগণের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র উপায়।" তিনি শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, "নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে পরাজিত ফ্যাসিস্টদের সহায়তা করা।"
তিনি আরও বলেন, "নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগকে বিএনপি অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে, যদি কেউ রাষ্ট্রীয় বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল গঠন করতে যায়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।"
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, "একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সবকিছু শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সুতরাং, কোনো কিছু শুদ্ধ রাখার জন্য রাজনীতির বাইরে রাখা বা ঊর্ধ্বে রাখা উচিত নয়। বরং, রাজনীতিকেই শুদ্ধ করা প্রয়োজন। রাজনীতি শুদ্ধ এবং স্বচ্ছ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।"
তারেক রহমান জানান, বিএনপি রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল সংস্কারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, "যদি জনগণের রায় পেয়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়, তবে প্রতিটি সংস্কার কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।"
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আরও অনেক নেতা।