রোববার পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংস্কার বাস্তবায়ন, চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণ এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে আজ সকাল থেকে কর্মীরা গণছুটিতে গেছেন। তবে জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে দু’জন কর্মী অবস্থান করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দুর্নীতি ও শোষণের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় রাজধানীর শহীদ মিনারে টানা ১৬ দিনের অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়। সরকার গত অক্টোবর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করলেও তাদের রিপোর্ট প্রকাশ বা বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া গত জুনে আরও দুটি কমিটি গঠন করা হলেও তারা এখনও কোনো সুপারিশ জমা দেয়নি। এ অবস্থায় নতুন করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন কর্মকর্তারা।
অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, তাদের আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী ইন্ধন হিসেবে আখ্যা দেওয়া সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তারা কোনো পক্ষের প্ররোচনায় নয়, নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের দাবি পূরণের বিষয়ে সরকার আন্তরিক এবং আলোচনা অব্যাহত আছে। তবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ একটি অপরিহার্য সেবা, এতে বাধা সৃষ্টি করা অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। গণছুটির নামে কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে, নতুবা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছর একই ধরনের আন্দোলনে দেশে প্রায় ব্ল্যাক আউটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়—অনেক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়, ডজনখানেক কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হন এবং কয়েক হাজার কর্মীকে বদলি বা চাকরিচ্যুত করা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি, এসব হয়রানি এখনো চলছে।