কালো টাকা সাদা করার বিধান পুনর্বিবেচনায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৩ জুন ২০২৫ ০৭:০৯ অপরাহ্ণ   |   ১০৪ বার পঠিত
কালো টাকা সাদা করার বিধান পুনর্বিবেচনায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-


 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার জন্য কোনো ঢালাও সুবিধা রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
 

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যাদের কোনো কারণে অপ্রদর্শিত অর্থ রয়েছে, তারা সেটি প্রকাশ করার একটি সীমিত সুযোগ পাবেন। তবে এটি কোনো ‘চমৎকার’ পদক্ষেপ নয়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এটিকে পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেবে।”
 

একই প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, “গত বছর (আগস্ট ২০২৪) থেকেই কালো টাকা সাদা করার বিশেষ সুযোগ পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে। এবারের বাজেটেও সেই নীতিরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।”
 

তবে তিনি জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে নির্দিষ্ট কিছু খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। যেমন— কেউ যদি ফ্ল্যাট বা জমি কেনেন, তবে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা বাড়তি হারে কর দিয়ে তা বৈধ করতে পারবেন। আবার, নিজের নামে থাকা জমিতে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ হারে কর প্রদান সাপেক্ষে সেই বিনিয়োগকেও বৈধ ধরা হবে।
 

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এটি কোনোভাবেই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ নয়। বরং নির্দিষ্ট খাতে অতিরিক্ত করের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যবহারের একটি সীমিত ব্যবস্থা।”
 

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ওপর কোনো কর আরোপ করা হয়নি। তিনি বলেন, “এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল করযোগ্য নয়, এবং এটি করের আওতায় আনারও কোনো পরিকল্পনা নেই।”
 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার এবং এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রমুখ।
 

উল্লেখ্য, গত ২ জুন বিকেলে বিটিভি ও অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট।