ছাত্রদল নেতা আরশাদুল কবিরের উপর সন্ত্রাসী হামলা 

প্রকাশকালঃ ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ০১:০৬ অপরাহ্ণ ৪২৬ বার পঠিত
ছাত্রদল নেতা আরশাদুল কবিরের উপর সন্ত্রাসী হামলা 

তরিক শিবলী,ঢাকা প্রেস:-
 

রাজধানী উত্তরখান কাঁচকুড়া এলাকার ভাউথরে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তর খান ছাত্রদল ও সাবেক সদস্য ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা আরশাদুল কবির শুভর উপর গতকাল বারোটায় সন্ত্রাসী হামলা করা হয়।
 

এ বিষয়ে আরশাদুল কবিরের স্বজন এমারুল বেপারী গণমাধ্যমকে বলেন, আরশাদুলকে হত্যার জন্য মাথায় আঘাত করা হয়, যারা হামলা করেছে তারা পূর্ব থেকেই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সময়ের সাথে গিরগিটির মত তারা দল পরিবর্তন করে, পূর্বে ছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী এখন হঠাৎ করেই তারা বিএনপির পরিচয় দেয়।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ছাত্রদল নেতা ভুক্তভোগী আরশাদুলের সহকর্মী বলেন, হামলাকারী প্রত্যেককেই আমরা চিনি তারা চিহ্নিত, প্রধান হামলাকারী হল মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোরগঞ্জের নেতা মারুক হাসান শাকিল সঙ্গে ছিল তারই সহচর রিয়াদ, জিহাদুল ইসলাম জুয়েল, বাহারাম, অপু গাজী, জাকির, রাজিব, সানি, ইমন সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেক সন্ত্রাসী।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ,উত্তরখানে বসবাসরত হৃদয় বলেন, হামলাকারী প্রধান মারুফ হাসান শাকিল একজন পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী। স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগ শাসনামলে মারুফ নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিতেন। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর  নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দেন। কিভাবে কেমন করে আওয়ামী লীগ থেকে আবার বিএনপি হয়ে গেল তা আল্লাহই ভাল জানে।
উত্তরখানে বসবাসরত  গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সজল বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় তাকে আমি কখনোই দেখিনি, কিন্তু এখন শুনি সে নাকি গণঅভ্যুত্থান  এর সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গী হিসেবে কাজ করেছে, মারুফ নিজেকে যুবদল নেতা হিসেবেও পরিচয় দেন। রাজনীতিতে হাইব্রিড শব্দটা মনে হয় এদের জন্যই প্রযোজ্য।
 প্রথমে উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল পরে
আব্দুল্লাহপুর সংলগ্ন আইসি হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী আরশাদুল মাথায় আঘাতের চিহ্ন সম্পূর্ণ স্পষ্ট। তার সারা শরীরে কিল, ঘুসি দাগ স্পষ্ট। তার মেরুদন্ডে আঘাতের কারণে সে স্বাভাবিকভাবে  দাঁড়াতে পারছে না। 

ভুক্তভোগী আরশাদুল কবির শুভর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, সাধারণ মানুষ যদি আমাকে উদ্ধার না করত তাহলে আমি এতক্ষণে মৃত থাকতাম। এলাকার মানুষজন জড়ো হয়ে তাদের প্রতিহত করে এবং আমাকে উদ্ধার করে প্রাণ বাঁচায়। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ এবং আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার উপর হামলাকারী প্রধান মারুফ হাসান শাকিলকে  এলাকার সবাই চেনে, সে চিহ্নিত কিশোর গ্যাং নেতা, মাদক ব্যবসায়ী ও ইয়াবা সেবনকারী এবং ইয়াবা বিক্রয়কারী, ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতা।