ঢাকা প্রেস নিউজ
এবার রমজান শুরুর আগে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলেও কিছু পণ্যে ইতোমধ্যে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে লেবু, বেগুন ও শসার মতো ইফতারির উপকরণের দাম বেড়েছে চাহিদার কারণে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা রোজার প্রস্তুতি হিসেবে আগেভাগেই বাজার করছেন, যা কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের দামে প্রভাব ফেলেছে। শনিবার চাঁদ দেখা গেলে রোববার থেকে রোজা শুরু হবে।
খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, লেবুর মৌসুম না থাকায় গত এক মাস ধরে এর দাম বাড়তি। বেগুন ও শসার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণও মূলত চাহিদা বৃদ্ধি। প্রতি বছরই রোজার আগে এসব পণ্যের দাম বাড়ে, তবে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা নেই।
রমজানে ইফতারিতে শরবত তৈরিতে ব্যবহৃত লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রতি হালি সুগন্ধি লেবু ৬৫-৭০ টাকা এবং অন্যান্য লেবু ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা মাসখানেক আগে ১০-১৫ টাকা কম ছিল। তবে গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি লেবু ব্যবসায়ী জালাল আহমেদ জানান, মৌসুম না থাকায় এবং দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লেবুর উৎপাদন কম, ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে।
শসার বাজারেও একই চিত্র। হাইব্রিড শসা ও খিরার কেজি ৪০-৬০ টাকা, দেশি শসা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেও এসব শসার দাম ছিল ১০-৩০ টাকা কম। তবে গত বছরের তুলনায় এ দাম এখনো কম রয়েছে, কারণ গত রমজানে শসার কেজি ১১০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
লম্বা বেগুনের চাহিদা বেশি থাকায় এর দামও বেড়েছে। পাঁচ-ছয় দিন আগেও প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় ভ্যানে কিনতে গেলে আরও ১০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। অন্যদিকে গোল বেগুনের দাম স্বাভাবিক রয়েছে, প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা।
টমেটোর ভরা মৌসুম থাকায় এর দাম স্থিতিশীল রয়েছে, প্রতি কেজি ২৫-৪০ টাকা। গাজরের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম বাড়েনি, প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪৫-৫০ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় কম।
রমজানে কাঁচামরিচের চাহিদা বাড়লেও এবার দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে কেজি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত দুই-তিন মাস ধরেই একই দামে রয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও ঢাকা বিভাগীয় প্রধান বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, রোজা উপলক্ষে রোববার থেকে রাজধানীতে ১০টি বিশেষ তদারকি দল বাজারে নামবে। তারা বাজার মনিটরিং করবে এবং রমজানজুড়ে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রোববার সকালে কারওয়ান বাজারে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।