অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে : ভূমিমন্ত্রী 

প্রকাশকালঃ ০৮ জুন ২০২৪ ০৬:০৯ অপরাহ্ণ ৬০৬ বার পঠিত
অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে : ভূমিমন্ত্রী 

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সরকারি অর্থবছরের সঙ্গে মিল রেখে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের ভূমি রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনবে।  শনিবার (৮ জুন) রাজধানীতে বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ভূমিসেবা সপ্তাহ ২০২৪ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ভূমিমন্ত্রী বলেন, অতীতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের হতো ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র। কর আদায়কালের বর্তমান পরিবর্তনটি ভূমি উন্নয়ন করের আদায় প্রক্রিয়াকে অধিকতর সুষম, স্বচ্ছ ও কার্যকর করবে বলে জানান তিনি। 

 

নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, অনলাইনে জমির মালিকানার তথ্য রয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৪০ লাখের অধিক। ডাক বিভাগের মাধ্যমে নাগরিকের ঠিকানায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখের বেশি  খতিয়ান পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। বিদেশ থেকে সরাসরি ০৯৬১২৩১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা ভূমিসেবা পোর্টাল land.gov.bd অথবা ‘ই-খতিয়ান’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করলে খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপি ১৯২টি দেশে নাগরিকের নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো খতিয়ান থেকে জমি নামজারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে মূল খতিয়ান থেকে ধারাবাহিক সৃষ্ট নতুন খতিয়ানের ধারাবাহিক ক্রম প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  
 

ভূমি সচিব খলিলুর রহমান জানান, ভূমি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা দূর করেছে এবং নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ পদক্ষেপ ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সহজতর করবে এবং জনগণকে দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে জমি সংক্রান্ত সেবা প্রদানে সহায়তা করবে। নতুন জনবল নিয়োগের ফলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

ভূমি সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।

 

অনুষ্ঠানে ‘ভূমি আমার ঠিকানা, স্মার্ট ভূমিসেবা স্মার্ট নাগরিক’ ‘ঢাকা জেলার খাসজমি চিহ্নিতকরণ, উদ্ধার ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম’, ‘ঢাকা জেলার জলমহাল সমগ্র’– এই তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ভূমিমন্ত্রী।