ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
ছয় দফা দাবিতে আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) সারাদেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবেন শিক্ষার্থীরা। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ শনিবার তাদের ফেসবুক পেজে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, পূর্বের সব নির্দেশনা বহাল রেখেই আজ সারাদেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো:
১. পদোন্নতি সংক্রান্ত দাবি: জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিল করতে হবে। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত এবং ২০২১ সালে বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্ত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও সংশ্লিষ্ট বিধি দ্রুত সংশোধন করতে হবে।
২. ডিপ্লোমা কোর্সে বয়স নীতিমালা ও কারিকুলাম উন্নয়ন: ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল, উন্নতমানের চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু এবং একাডেমিক কার্যক্রম ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালনার দাবি জানানো হয়েছে।
৩. ডিপ্লোমা পাস শিক্ষার্থীদের চাকরি সংরক্ষণ: উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের (১০ম গ্রেড) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম না মানা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পদে দক্ষ জনবল নিয়োগ: পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অধ্যক্ষসহ সব কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগের দাবি এবং দ্রুত শূন্যপদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
৫. স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় ও সংস্কার কমিশন গঠন: একটি স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠনের দাবি করা হয়েছে।
৬. উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি: পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি, নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালু করে আগামী সেশন থেকেই শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চার লাখের বেশি পলিটেকনিক শিক্ষার্থী দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। শুরুতে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে আন্দোলন চললেও, গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধের মাধ্যমে তা নতুন মাত্রা পায়। আন্দোলনটি এখন দেশব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে।