একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের প্রয়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার এই অভিযোগ লিখিতভাবে দাখিল করেন তিনজন সাক্ষী—পিরোজপুরের বাসিন্দা মাহবুবুল আলম হাওলাদার, মাহতাব উদ্দিন ও আলতাফ হাওলাদার। অভিযোগটি দায়ের করেন তাদের আইনজীবী পারভেজ হোসেন।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবির, এবং পিরোজপুরের সাবেক এমপি একেএম আউয়াল।
অভিযোগ দাখিলের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনজীবী পারভেজ হোসেন বলেন, ২০০৯ সালে মাহবুবুল আলমকে ডেকে আউয়াল এমপি তাকে দেলওয়ার সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন। রাজি না হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে তৎকালীন পিপি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়, এমনকি মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালেও প্রথম সাক্ষী হিসেবে মাহবুবুলকে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়। সেই সময় তাকে যাত্রাবাড়ী থানার অধীনে কথিত ‘সেফ হোমে’ রাখে এবং সেখানেও নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগের বাকি দুই সাক্ষীর ক্ষেত্রেও একইভাবে তৎকালীন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম জবানবন্দি নেন।
এর আগে, ২১ আগস্টে দেলওয়ার সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গুম ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি।