ঢাকা প্রেস
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে বিতর্ক তুলে ধরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে 'দলিল' তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
কোরআনের সুরা আনফাল: অধ্যাপক জামাল উদ্দীন দাবি করেন, সুরা আনফালে স্পষ্টভাবে বলা আছে যে, "যারা বিজিত বাহিনী হবে তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের ৮০ ভাগ অর্থাৎ ৪ ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। আর বাকি একভাগ থাকবে দুঃস্থ এতিমদের জন্য।" তিনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ী বাহিনী ছিলেন এবং তাই তারা এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান: অধ্যাপক জামাল উদ্দীন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের স্বাধীনতার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পরবর্তী 'অন্ধকার যুগে' তাদের উপযুক্ত সম্মান ও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
কোটাবিরোধী আন্দোলন: সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়েছে। অধ্যাপক জামাল উদ্দীন মনে করেন, এই আন্দোলনের নেতৃত্বে আসলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছেন যাতে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে।
অধ্যাপক জামাল উদ্দীনের বক্তব্য ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার মতামত সমর্থন করলেও, অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে এবং এই বক্তব্যটি বিতর্ককে আরও তীব্র করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিনেটের উপস্থিতি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ সহ আরও অনেক সিনেট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।