একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৭ দিনে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ আবেদন
প্রকাশকালঃ
০৩ জুন ২০২৪ ০৪:৫৮ অপরাহ্ণ ৫৮২ বার পঠিত
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সাত দিনে প্রায় সাড়ে নয় লাখ শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করেছে। এর মধ্যে পেমেন্ট সম্পন্ন করেছে নয় লাখ ৩৪ হাজার ১৫৯ আবেদনকারী। এবার ৫১ লাখ ৭০ হাজার বেশি ইএসভিজি চয়েস (কলেজ পছন্দ) দাখিল করেছে আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা। রোববার (৩ জুন) রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত এ পরিমাণ শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ড ও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ওয়েবসাইটে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তিন ধাপের ভর্তির মধ্যে প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া আগামী ১১ জুন পর্যন্ত চলবে। এছাড়া, শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবদেন করে পেমেন্ট করতে পারছিল না। গতকাল থেকে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন আবেদনকারীরা আবেদন ফি বিকাশের মাধ্যমে সরাসরি পরিশোধ করতে পারবে। আবেদন ফি পরিশোধের পর একাদশ শ্রেণিতে স্মার্ট ভর্তির সিস্টেমে লগ ইন করে পোর্টাল থেকে নিশ্চিত হতে পারবে তার পেমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে কি না।
শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, আবেদন করার সুবিধার্থে আবেদন ফি পরিশোধ না করা থাকলেও আবেদন করতে পারছে ভর্তিচ্ছুকরা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আবেদন করার পরে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে; নয়তো আবেদন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আবেদনের সাইট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর আগে, সার্ভার জটিলতার কারণে একাদশ শ্রেণির ভর্তি আবেদন যথাসময়ে শুরু হয়নি। পূর্বঘোষিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী গত ২৬ মে সকাল থেকে ভর্তি আবেদন শুরুর কথা ছিল। তবে, সে সময় অনেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশে জটিলতায় পড়েছে। পরে ‘লিঙ্গ অপশন’সহ অন্য সমস্যার সমাধান করলে আবেদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়। আবেদনের পোর্টালে আবেদনকারীর লিঙ্গ ভুল দেখানো সংক্রান্ত একটি ত্রুটি গত ২৮ মে সকাল ১০টার দিকে সমাধান করা হয়েছে।
একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে এবার রাজধানীর কলেজগুলোতে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার ও ইংরেজি মাধ্যমে সাড়ে আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা বাদে অন্য মেট্রপলিটন এরিয়ায় পাঁচ হাজার, জেলা শহরে তিন হাজার ও উপজেলায় আড়াই হাজার টাকা। এটাই সর্বোচ্চ ভর্তি ফি।
এবার একাদশ শ্রেণিতে ২৫ লাখ আসন থাকলেও এসএসসিতে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার শিক্ষার্থী। সে হিসেবে আট লাখের বেশি আসন খালি থাকবে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। এক লাখ ৮২ হাজার ১৩২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। নয়টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ।