সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ নতুন ধারণা। এটি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে কোনো আলোচনা হয়নি।”
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্য ব্যাহত হবে না, নির্বাচন হবে আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী। প্রয়োজনীয় আইন সময়মতো প্রণয়ন করা হবে।
ড. ইউনূস আরও জানিয়েছেন, গত ৯ মাস ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। সংবিধানের ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে, যা ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য আশাব্যঞ্জক। এই উদ্যোগের জন্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি গণভোটের ব্যালটে অন্তর্ভুক্ত প্রশ্নও উন্মোচন করেছেন। প্রশ্নটি হবে:
“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং এতে বর্ণিত সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জানাচ্ছেন?”
প্রধান উপদেষ্টা ব্যাখ্যা করেন, ভোটে যে চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তা হলো:
(১) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠিত হবে।
(২) আগামী সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধনের জন্য উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুমোদন প্রয়োজন।
(৩) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ ৩০টি প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিজয়ী দল বাধ্য থাকবে।
(৪) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে।
গণভোটের দিন ভোটাররা এই চারটি বিষয়ে একক প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে তাদের মতামত জানাবেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।