আশুলিয়ার বাইপাইলে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অবরোধে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি
প্রকাশকালঃ
০১ অক্টোবর ২০২৪ ০১:৪৯ অপরাহ্ণ ৭৩০ বার পঠিত
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অবরোধে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক এবং বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা ২৪ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বার্ডস গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা। আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলতে দেখা গেছে।
সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানা যায়। শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দিনভর যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাতেও শ্রমিকরা সড়ক না ছাড়ায় টানা অবরোধের ফলে তিনটি প্রধান সড়কে তীব্র যানজট হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সড়ক ব্যবহারকারীরা।
এ সময় বাধ্য হয়ে অনেককে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে শ্রমিকরা এখনো সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, গত ২৮ আগস্ট একটি নোটিশের মাধ্যমে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের সব কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শ্রমিক-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন ১০ সেপ্টেম্বর ও সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়। চুক্তিমতো শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। তা পরিশোধে আরো তিন মাস সময় চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
এদিকে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ না করলেও শ্রমিক নেতাদের প্রায় সাড়ে আট লাখ টাকা উৎকোচ হিসেবে কারখানা কর্তৃপক্ষ দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিকরা গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নবীনগর-চন্দ্র মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন।