ফতুল্লায় আওয়ামী দোসর ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৭ নভেম্বর ২০২৫ ০১:২৬ অপরাহ্ণ   |   ৩৬ বার পঠিত
ফতুল্লায় আওয়ামী দোসর ইসমাইল বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ:


 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জমি দখলের চেষ্টা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় আওয়ামী দোসর হিসেবে পরিচিত ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ৮–১০ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্মগঞ্জ এলাকার ভুক্তভোগী মো. হাবিবুর রহমান। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ইসমাইল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং তার ছেলে স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্যাডার পরিচয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া আচরণ ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
 

লিখিত অভিযোগে হাবিবুর রহমান উল্লেখ করেন, বক্তাবলী মৌজার তফসিলভুক্ত ৪০ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করে নিয়মিত খাজনা প্রদানসহ নিজ দখলে ভোগ করে আসছেন। কিন্তু বিবাদী ইসমাইল (৪২), তার ছেলে ইয়ামিন আহমেদ (১৯), সহযোগী ছাহিদ সেকান্দার (২০) ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজন জমি দখলের উদ্দেশ্যে তাকে নিয়মিত হুমকি প্রদান করছেন।
 

অভিযোগকারী জানান, জমিতে গেলে বিবাদীরা প্রায়ই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মারধরের হুমকি দেয়। এমনকি জীবননাশের ভয়ও দেখানো হয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে রাতের আঁধারে তার অজ্ঞাতে জমিতে বালু ভরাট করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবগত করলে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
 

অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে, গত ২৪ নভেম্বর (সোমবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসমাইল, ইয়ামিন, ছাহিদসহ সহযোগীরা তার জমিতে গিয়ে আইল নির্মাণ শুরু করে। তিনি বাধা দিলে বিবাদীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে জানায়, ভবিষ্যতে জমির দাবি করলে তাকে ও তার পরিবারকে "শেষ করে দেওয়া হবে"।
 

এদিকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় গত ১৮ অক্টোবর ইসমাইলকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সে মামলার (মামলা নং–৩৫/৪৫২, তাং ২৯/৮/২৪) এজাহারে তিনি ৩৫ নম্বর আসামি হিসেবে নামীয় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
 

স্থানীয়দের দাবি, ইসমাইলের রাজনৈতিক প্রভাব এবং তার ছেলের সংগঠন সংশ্লিষ্টতার কারণে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. রেহানুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান।