তবে যিনি এই পিচ তৈরি করিয়েছেন—বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স—তিনি ভালোই জানেন এখানে কী অপেক্ষা করছে। কারণ তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ীই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন ওয়ানডের জন্য উইকেট বানিয়েছেন নতুন টার্ফ ম্যানেজমেন্ট প্রধান টনি হেমিং। গামিনি ডি সিলভার পর হেমিংয়ের ছোঁয়ায় মিরপুরের উইকেট কতটা ‘স্পোর্টিং’ হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কালো মাটির উইকেট সাধারণত কিছুটা ট্রিকি হয়—এই ধরনের পিচে স্পিনাররাই সুবিধা পান। উইকেট পরিদর্শনের পর স্যামির চোখেমুখে ছিল বিস্ময়। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
“জানি না ঠিক কীভাবে বলব… এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। উপমহাদেশে খেলা মানেই ব্যাটারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।”
ক্রীড়া সাংবাদিক ও খেলোয়াড়রা এই উইকেটের চরিত্র সম্পর্কে আগে থেকেই জানলেও সাধারণ দর্শকরা টিভিতে কালো পিচ দেখে চমকে গেছেন। ম্যাচের প্রথম ইনিংসের অর্ধেক দেখে বোঝা যায়, এই পিচ পুরোপুরি স্পিন সহায়ক। রোমারিও শেফার্ড ও খারি পিয়েরের বলে নাজমুল হোসেন শান্ত আর তাওহিদ হৃদয় পড়েছেন চরম পরীক্ষায়। উইকেটে এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে টার্ন, বল নিচু হয়ে আসছে বারবার—ফলে ইনিংস গড়তে হচ্ছে অনেকটা টেস্ট মেজাজে।
দীর্ঘ ১৬ বছর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছেন শ্রীলঙ্কান গামিনি ডি সিলভা। ক্রিকেট বোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী উইকেট তৈরি করলেও তাঁকে ‘ভালো পিচ বানাতে ব্যর্থ’ অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজশাহীতে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন টনি হেমিং, যিনি এখন বোর্ডের অন্যতম বড় প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু।
তবে সমস্যা একটাই—ভালো উইকেটে খেললে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। আর বাংলাদেশ এখন র্যাংকিংয়ের পয়েন্টের তীব্র প্রয়োজনীয়তার মুখে। তাই বলা যায়, মিরপুরের এই ‘কালো পিচ’-এর পেছনে লুকিয়ে আছে কৌশল—যে কোনো মূল্যে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করার কৌশল।