জাপানের বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরে সহায়তার আশ্বাস

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৩ অপরাহ্ণ   |   ৬৯ বার পঠিত
জাপানের বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরে সহায়তার আশ্বাস

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের প্রচেষ্টায় সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জাপান। একই সঙ্গে দেশটি বাংলাদেশে বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে।
 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই প্রতিশ্রুতি দেন।
 

জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, "আমরা বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসা শুধু অব্যাহত রাখাই নয়, বরং আরও সম্প্রসারিত করবো।"
 

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার এবং তার সরকার এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে। তিনি বলেন, "জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। তারা আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রধান উন্নয়ন সহযোগী।"
 

জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং জাপান বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি রপ্তানি গন্তব্যের একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৫০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
 

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ এখন জাপানসহ পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে সার্ক ও আসিয়ান সদস্যদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ খুঁজছে। তিনি আরও বলেন, "আমরা পশ্চিম ও পূর্ব—উভয়ের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। এটি ব্যবসা সম্প্রসারণের সময়।"
 

জাপানি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তাদের অর্থায়নে চলমান বড় প্রকল্পগুলোর ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। এর মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্প।
 

প্রধান উপদেষ্টা জাপানের রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।