ঢাকা প্রেস
সুরুজ আলী,নাটোর জেলা প্রতিনিধি:-
নাটোরে বসেছে শিক্ষার্থীদের "জনতার বাজার" বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে চালু হয়েছে এই ‘জনতার বাজার’। এই বাজারে স্বল্প মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এভাবেই শাকসবজি বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে নাটোর শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ড ( প্রেস ক্লাবের সামনে) এলাকায় শিক্ষার্থীরা এই বাজার চালু করেছে। জনতার বাজারে চাল, ডিম, আলু, কচু, বেগুন, লাউ, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, শসা, ডিম, শাক বিক্রি হয়।
এর মধ্যে চাল প্রতিকেজি ৪৫ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৪৯, আলু কেজি প্রতি ৫৪ টাকা, পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৩০ টাকা, বেগুন কেজি প্রতি ৫৫ টাকা। সকাল থেকেই সড়ক পথের যাত্রী ও স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের থেকে কম দামে পণ্য কিনছেন । সকাল থেকে শুরু হওয়া এ বাজার কার্যক্রম চলবে দুপুর পর্যন্ত।
এই বাজারে পণ্য কিনতে আসা আব্দুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামে মানুষের জন্য বর্তমানে বাজার করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। এখানে সবকিছুরই দাম কম হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
রিক্সা চালক শাহবুদ্দিন বলেন, রাস্ত দিয়ে ভাড়া নিয়ে যাচ্ছিলাম। এখানে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল, সবজি বিক্রির হচ্ছে দেখলাম। বাজারে যে দাম সে তুলনায় এখানে প্রতিটি পন্য ৫ থেকে ১৫ টাকা দাম কম। যাত্রীর অনুমতি নিয়ে নেমে পড়লাম কমদানের পণ্য কিনতে। আমার দেখে যাত্রি নিজেই নেমে পড়েন ছাত্রদের কম দামের বাজারে। এমন দামে সবজি কিনতে পেরে ভালই লাগছে। যারা এমন মহান কাজ করছেন তাদের মন থেকে দোয়া করি।
নাটোর স্বার্থ রক্ষা কমিটি’র সদস্য সচিব শেখ রিফাদ মাহমুদ বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ‘জনতার বাজার’ কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে জনসাধারণের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও সবজি বিক্রয় করা হচ্ছে। যেখানে সরাসরি কৃষকের থেকে পণ্য কিনে ভোক্তার কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে, মাঝে থাকছেনা কোনো সিন্ডিকেট। এতে সাধারণ জনগণের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান পিয়াস জানান, প্রতি সপ্তাহের তিনদিন বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই জনতার বাজার কার্যক্রম চলবে। ভবিষ্যতে আমরা মাছ, মাংসসহ আরও পণ্য বাড়াবো। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে যে দাম দ্বিগুণ তিনগুণ হয়ে যেত সেটি আর হওয়ার সুযোগ থাকবে না। ফলে জনসাধারণের পকেটে কিছুটা চাপ কম পড়বে।
এদিকে কম দামে পণ্য কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারাও।