আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
টুং, টাং শব্দে মুখরিত কুড়িগ্রাম জেলার কামারেরা। এই শব্দই জানান দিচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা সন্নিকটে।
ঈদের আর মাত্র ১ দিন বাকি। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সকাল থেকে রাত সমান তালে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুড়িগ্রামের জেলার বিভিন্ন উপজেলার ফুলবাড়ী, বালারহাট, গংগার হাটসহ বিভিন্ন বাজারের কামারেরা, তবে গঙ্গারহাটের কামারদের টুংটাং শব্দটা একটু বেশি।
শুক্রবার (০৬ জুন) বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তারা খুব সকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত দা, ছুরি, বঁটি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কাজ করছেন। সময় যত ঘনিয়ে আসছে বেচা-কেনাও ততই বাড়ছে তাদের। শেষ মুহূর্তে দম ফেলারও সময় নেই কামারদের।
কয়েকটি কামারের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি দোকানে ৩-৪ জন কর্মকার কোরবানির গরু কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুরোনো দা, বঁটি ধার দিতে মজুরি ১শত টাকা থেকে ১২০ টাকা। গরু জবাইয়ের ১৬/১৮ ইঞ্চি সাইজের বড় ছুরি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ৮/১২ শত টাকা, চাপাতি প্রতি পিস খরচ হচ্ছে ৬ শত টাকা থেকে ১ হাজার শত টাকার মধ্যে আর ছোট চাকু ১ মত থেকে ১শত ২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
একাধিক কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি প্রভৃতি বিক্রি করে যে ব্যবসা হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যবসা হয় কোরবানির ঈদে।
কর্মকার ওবাইদুল, আব্দুর রহিম সহ একাধিক কামার জানায়, এই কাজ তারা বংশানুক্রমে করে আসছেন। এ পেশায় বর্তমানে যারা রয়েছেন তারা বেশিরভাগই বাপ-দাদার ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরে আছেন।