নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন সোমবার থেকে শুরু

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:২৫ অপরাহ্ণ   |   ৮৪ বার পঠিত
নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন সোমবার থেকে শুরু

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন আগামীকাল সোমবার ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) অংশগ্রহণ করবে।
 

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো. শরীফুল ইসলাম আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। এই দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
 

অন্যদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশ নেবে, যেখানে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন।

 

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তার তথ্যমতে, এবারের সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়গুলো হলো:

  • সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, হত্যা, আহত, আটক বা অপহরণ প্রতিরোধ।
  • ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান রোধ।
  • আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রবেশ রোধ।
  • সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াসহ অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের সমাধান।
  • আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্তবর্তী চারটি খালের বর্জ্য পানি ব্যবস্থাপনা এবং উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন।
  • জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে রহিমপুর খালের সংযোগ উন্মুক্তকরণ।
  • আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়।
  • সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সমস্যার সমাধানে 'সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা' কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন।
  • দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।

 

চার দিনব্যাপী এই সম্মেলন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে। সম্মেলন শেষে একই দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে প্রত্যাবর্তন করবে।