সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি

প্রকাশকালঃ ০৩ জুন ২০২৪ ০৩:৩১ অপরাহ্ণ ৫৮৫ বার পঠিত
সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি

রোববার রাতের প্রবল বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যায় সিলেট মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। রাতেই বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি উঠে আসবাবপত্র, ঘরের চুলা ডুবিয়ে দেয়, পানি উঠেছে ওসমানী হাসপাতালেও। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নগরীর মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদী। 

 

সোমবার (৩ জুন) বেলা ৯টায় জানা যায়, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার, কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে।

 

সিলেটে গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। নতুন নতুন এলাকাও প্লাবিত হচ্ছে। এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আঙ্গিনায় পানি। ভবনের নিচতলা বৃষ্টির পানি। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। 

 

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ভোররাত থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে হাসপাতাল ভবনের নিচতলার প্রায় প্রতিটি কক্ষে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। 

 

তিনি বলেন, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিচতলা পুরোটাতেই পানি ঢুকেছে। গত বছর বন্যার সময় পানি ঢুকেছিল, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বারবার জানানো হলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃষ্টি হলে এই অবস্থা হয়।  সূত্র বলছে, ওসমানী মেডিকেল কলেজের উত্তরপাশ ঘেঁষে প্রবাহিত ছড়ার আশ-পাশে বিভিন্ন ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে।

 

এ কারণে ছড়া দিয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক বাসিন্দা পানির প্রবাহ ওসমানী মেডিকেলের একমাত্র ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। ফলে ড্রেন উপচে বৃষ্টির পানি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে প্রবেশ করে। রোগীর স্বজনরা জানান, প্যাথলজি বিভাগ, ২৬, ২৭ ও ৩১ নং ওয়ার্ড হাঁটু সমান পানি রয়েছে।

 

বিভিন্ন কক্ষে পানি প্রবেশ করার ফলে অনেক মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিচতলার মেঝেতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তড়িঘড়ি করে তাদেরকে একজনের বিছানায় দুজন রোগীকে জায়গা দেওয়া হয়। ওয়ার্ডে ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানি প্রবেশ করার ফলে চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে রোগীর স্বজনদের ভাষ্য।