জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগ্রামী, সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ এমদাদের ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নিজেই।
শনিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি বিভাগের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
এমদাদ জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর পল্টন মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম সমিতির অফিসে বৈশাখী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় অংশ নিতে গেলে তার ওপর এই হামলা হয়। সভা শেষে রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় চট্টগ্রাম বিল্ডার্সের মালিক নাসির চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল তার ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীদের হাতে ছিল লোহার রড, লাঠি, চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র। তারা প্রথমে বৈশাখী প্রস্তুতি সভার সভাপতি এম এ হাশেম রাজুর ওপর হামলা করে এবং এরপর এমদাদকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। হামলার পর থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর এমদাদ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে মো. নাসির উদ্দিনকে। এছাড়াও আরও আটজনকে আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন: চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উজ্জল মল্লিক ও শাহাদাত হোসেন হিরু, সাবেক নির্বাচন কমিশনার জকরিয়া, সাবেক কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদুল আলম, হোটেল গ্র্যান্ড তাজের মালিক মুনসুর আলম চৌধুরী, মোস্তফা ইকবাল চৌধুরী মুকুল, মো. গিয়াস উদ্দিন এবং ব্যবসায়ী মো. শফিকুর রহমান।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ এমদাদ এক চোখ হারান এবং একটি পা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।