শনিবার দুপুরে বিজিবির শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের (৪৬ বিজিবি) পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে শরীফপুর ইউনিয়নের হরিপুর সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০ জন বাংলাদেশি ভারত থেকে মালপত্র আনতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হরিপুর গ্রামের সিফার, মাসুক আলী এবং সঞ্জয়পুর গ্রামের সোহাগ মিয়া ভারতের প্রায় ২০০ গজ ভেতরে ঢুকে পড়লে বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে।
বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া বলেন, “বিএসএফ সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, আটক ব্যক্তিদের চোরাচালানের মালপত্রসহ ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার ইরানি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
তবে আটক তিনজনের পরিবারের দাবি, তারা চোরাকারবারি নন। বরং মনু নদীতে মাছ ধরার সময় বিএসএফ তাদের চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে। মনু নদীর ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ঊনকোটি জেলা অবস্থিত।
বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত আটক ব্যক্তিদের স্বজনরা কুলাউড়া থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেননি কিংবা বিজিবির কাছেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ জানাননি।