ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ৯৪ জন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক দেশে পুশইন করেছে। বিজিবি জানিয়েছে, এসব ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক এবং কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন।
রোববার ভোরে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর সীমান্ত দিয়ে মোট ৫৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এর মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১৯ জন নারী ও ২৪ জন শিশু। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার নোনাগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্প থেকে তাদের পাঠানো হয়।
প্রথম দফায় হরিহরনগর সীমান্তের মেইন পিলার ৬১ ও সাব-পিলার ২ নম্বর এলাকা দিয়ে ৪৫ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ৬২ নম্বর পিলারের কাছ দিয়ে ৯ জনকে পুশইন করা হয়। তারা ভারতের গুজরাট ও হরিয়ানা রাজ্য থেকে আটক হয়ে এসেছিলেন বলে জানিয়েছে। বিজিবি তাদের নবদুর্গাপুর মাঠ এলাকা থেকে আটক করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে।
একই দিন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার কাচালং সীমান্ত দিয়ে ফেনী নদী পেরিয়ে ১৯ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ। যামিনীপাড়ার বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল তাদের আটক করে আচালং ডিপিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছে। বিজিবি জানায়, তারা সবাই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা এবং হরিয়ানা থেকে ত্রিপুরা হয়ে গুলোমনিপাড়ায় এনে পুশইন করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মতেরবল সীমান্ত দিয়ে ২১ জন নারী-শিশুকে বিএসএফ বাংলাদেশে পাঠায়। সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিজিবি তাদের আটক করে।
এদিকে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে রোববার গভীর রাতে ১৯ জন (৮ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী) বাংলাদেশিকে পুশইন করে বিএসএফ। আটক ব্যক্তিরা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দা এবং জানিয়েছেন, তারা ২০ বছর আগে হরিয়ানায় গিয়েছিলেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে থেকে গতকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মোট ৭৪০ জনকে বাংলাদেশে জোরপূর্বক পুশইন করেছে বিএসএফ।