পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নোয়াখালী সফরে এসে ইলিশ রপ্তানি ও নদী ভাঙন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে, ইলিশ ভারতে উপহার হিসেবে যাচ্ছে না বরং রপ্তানি করা হবে। এই রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করবে। উপদেষ্টা মনে করেন, ইলিশ রপ্তানির কারণে দেশীয় বাজারে দাম বাড়বে এমন আশঙ্কা অমূলক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র আন্দোলনের সময় ভারতের সমর্থন পাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপর জোর দেন।
নদী ভাঙনকে জাতীয় দস্যুতা বলে অভিহিত করে উপদেষ্টা জানান, রাজস্ব আয়ের লোভে অনেক সময় নদীর বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়, যা নদী ভাঙনের প্রধান কারণ। তিনি সরকারিভাবে নদী ড্রেজিং করার পক্ষে মত দেন।
নোয়াখালীর মুছাপুর রেগুলেটর পরিদর্শন করে তিনি লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে এই রেগুলেটরের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান যে, রেগুলেটর নির্মাণে সময় লাগবে, তাই অস্থায়ীভাবে নদীর চর থেকে বালু সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
সরকার নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা হচ্ছে। সরকারি হিসেবে প্রতিবছর নদী ভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা এক লাখেরও বেশি।
ইলিশ রপ্তানি ও নদী ভাঙন দুটিই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকার এই দুটি সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। জনগণের সহযোগিতায় এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব।