বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজধানী পরিবহনের মালিকপক্ষ। সেখানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরাও অংশ নেন। আলোচনায় মালিকপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “মালিকপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করেছে এবং লিখিত মুচলেকা দিয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে।”
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সাভারের থানা স্ট্যান্ড এলাকায় টিউশন শেষে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন এ ঘটনার শিকার হন। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের ২৮টি বাস আটক করে।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে হালিমা লিখেছেন,
“বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে থানা স্ট্যান্ড থেকে রাজধানী বাসে ওঠার সময় হেলপার আমাকে গন্তব্য জিজ্ঞেস করে। আমি জাহাঙ্গীরনগর বললে সে বারবার বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করতে থাকে। বাসে ওঠার পর আবার জাহাঙ্গীরনগর বলতেই হেলপার ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেয়। এ সময় বাস চলতে শুরু করে এবং আমি রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হই। এর আগেও আমাকে একই ধরনের ঘটনার শিকার হতে হয়েছে।”