ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে অবৈধ বালু উত্তোলন 

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৩ মার্চ ২০২৫ ০১:৩৩ অপরাহ্ণ   |   ১৬৭ বার পঠিত
ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে অবৈধ বালু উত্তোলন 

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে নদী তীরের ঘরবাড়ি, কৃষিজমিসহ নানা স্থাপনা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

 

সরেজমিন দেখা গেছে, কোদালকাটি ইউনিয়নের পাখিউড়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ থেকে ড্রেজার ও ভেকু বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এ কারণে হুমকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী ঘরবাড়ি-ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। এসব বালু ট্রাক্টর (কাঁকড়া গাড়ি) দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।

 



স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু উত্তোলন করা ব্যক্তিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না কেউ।

 


 

নদী তীরের বাসিন্দারা জানান, যেভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন বালু খেকোরা; এতে বন্যার সময় নদী ভাঙনের মুখে পড়বেন তারা। বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি, জমিজমা ও গাছপালা। পরে স্ত্রী-সন্তান, গরু, ছাগল নিয়ে অন্যের ভিটায় ঠাঁই নিতে হবে তাদের।
 

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পাখিউড়া এলাকা বাজারের এক ব্যক্তি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার ও ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। এতে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথযাত্রীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ধুলাবালু লেগে সর্দি-কাশির মতো রোগ হচ্ছে। আবার কাঁকড়া গাড়ি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
 

বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত শফি আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমার একটা ভেকু চলমান রয়েছে। ট্রাক্টরের মাধ্যমে রৌমারীর সায়দাবাদ এলাকার ইটভাটায় মাটি দেওয়া হচ্ছে।’
 

ড্রেজার মালিক এমদাদুল হকের দাবি, তাঁর কাছ থেকে বাড়ির ভিটা উঁচু করার জন্য মাটি নিচ্ছেন অনেকে। এতে তো ক্ষতি হচ্ছে না, বরং উন্নয়ন হচ্ছে।
 

রাজীবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তানভীর আহমেদের ভাষ্য, নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানেন না তিনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।