মক্কা নগরীতে হজযাত্রীদের আবাসন প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। হজযাত্রীদের আবাসনের জন্য চার লাখ ৪০ হাজার কক্ষ প্রস্তুত করা হয়। সেখানে অন্তত ১৯ লাখ হজযাত্রী থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এক বিবৃতিতে মক্কা মিউনিসিপ্যালিটির মুখপাত্র উসামা জাইতুনি বলেন, মিউনিসিপ্যালিটির তত্ত্বাবধানে হজযাত্রীদের আবাসন সেবা নিশ্চিত করা হয়।
শর্তাবলী ও বিবরণ পূরণ সাপেক্ষে এবার ৩৪৪২ আবেদন অনুমোদিত হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ৪ লাখ ৪০ হাজার কক্ষে ১৯ লাখ হজযাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থলপথে সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছে হজযাত্রীদের প্রথম কাফেলা। গত শুক্রবার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের জাদিদাত আরার ল্যান্ড ক্রসিং দিয়ে ইরাক থেকে হজযাত্রী আসেন।
এদিকে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেন, জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় হজের মৌসুমে আট হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবীর পাশাপাশি ১৪ হাজার কর্মী কাজ করবে। তারা পবিত্র দুই মসজিদের ১০টি ক্ষেত্রে দুই লাখের বেশি কর্মঘণ্টা সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় ৪৯টি স্টেশনের মাধ্যমে বিশ্বের ৫১ ভাষায় হজযাত্রীদের অনুবাদসেবা দেওয়া হবে।
তা ছাড়া মসজিদে থাকবে কোরআন পাঠ, মুখস্থ ও শিক্ষাবিষয়ক প্রগ্রামের ব্যবস্থা। সৌদির শীর্ষ আলেমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ৩৫ হাজার ঘণ্টার প্রগ্রাম ১০ ভাষায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এদিকে হজ মৌসুমে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে তিন লাখের বেশি কোরআনের কপি বিতরণ করা হবে। পবিত্র দুই মসজিদের ৩০ হাজার পয়েন্টে হজের সময় প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ বোতলে ৪০ মিলিয়ন লিটার জমজমের পানি বিতরণ করা হবে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও সেবা দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, অ্যাপ, রোবট ব্যবহৃত হবে।
এদিকে গত ২১ মে থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়। আগামী ২৬ জুন থেকে করোনার আগের মতো বৃহৎ পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। হজ উপলক্ষে এ বছর ২০ লাখের বেশি মুসলিমের সমাগম আশা করছে সৌদি আরব। এর মধ্যে ১২ লাখের বেশি বিভিন্ন দেশের হজযাত্রী অংশ নেবেন।