গ্রীষ্মকাল মানে নানা ধরনের রসালো ফলের সমারোহ। এমন একটি দারুণ রসালো ও সুস্বাদু ফল লিচু। খুব অল্প সময়ের জন্য লিচু পাওয়া যায় এবং এর উপকারিতা অনেক। লিচু খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম।
এছাড়া রয়েছে ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ কার্যকর। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকায় গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে লিচুর তুলনা নেই। এছাড়া কিছু প্রোটিন, সামান্য ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটও রয়েছে এতে। ১০০ গ্রাম লিচুতে প্রায় ৬৬ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়।
চুল ও ত্বকের যত্নে যাদের সব সময়ই বাড়তি চিন্তা থাকে, তাদের জন্য লিচু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এটি যেহেতু সারা বছর পাওয়া যায় না, তাই এ সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে লিচু খাওয়া উচিত। ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এটি বেশ উপকারী। লিচু ত্বকের সানবার্ন দূর করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে লিচুর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া এটি হার্ট ভালো রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ে চিন্তা যাদের, তারা প্রায়ই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান—মিষ্টি ফল লিচু খেতে পারবেন কি না।
প্রকৃতঅর্থে লিচু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৩-৪টি লিচু এই সময়ে গ্রহণে ওজন বাড়ার বাড়তি দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে গরমের মধ্যে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, এমনকি পেটের গোলযোগের সমস্যা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ লিচু খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এক সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ লিচু খেলে নানাবিধ শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্রহণে দেহে টক্সিন সৃষ্টি হতে পারে। তাই লিচু একসঙ্গে অনেক না খাওয়াই ভালো। এ ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ছয়টি লিচু গ্রহণ করা যেতে পারে।