উত্তারা সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টার এর পরিচালক পর্ষদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

প্রকাশকালঃ ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:১০ অপরাহ্ণ ৩৩৪ বার পঠিত
উত্তারা সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টার এর পরিচালক পর্ষদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

ঢাকা প্রেস, তরিক শিবলী :-


রাজধানী উত্তরা সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টার এর সাধারণ ব্যবসায়ীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়কদের সহযোগিতা নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন । অভিযোগে উল্লেখ করা হয় আমাদের মার্কেট দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক সিন্ডিকেট এর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে যাচ্ছে। দালালি, মদ ও ইয়াবা ব্যবসা এধরনের সিন্ডিকেট  দমন করা সাধারণ ব্যবসায়ীদের পক্ষে অসম্ভব। মার্কেট কমিটিও এই চক্র দ্বারা গঠিত ও পরিচালীত। সাধারণ ব্যবসায়ীরা তাদের  জুলুম ও অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। সবাই ভয়ে মুখ খুলছে না। এদের দ্বারাই দোকান পজিশন এর  মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়, অন্যথায় দোকান ছাড়তে নোটিশ দেয়। এই সিন্ডিকেট অনেক প্রভাবশালী এবং এরা যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের চাটুকারিতা করে। তাই সাধারণ ব্যবসায়ীরা ভয়ে প্রতিরোধ করতে পারে না। মার্কেটে ব্যবসায়িক সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা করে। মাদক ব্যবসা করতে গিয়ে জেল ও মামলার আসামি হয়েছে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারী। সাধারণ ব্যবসায়ীরা এদের উপর চরম অতিষ্ঠ ও উদ্বিগ্ন ।

 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন ,আপনারা আমাদের মার্কেটের দালাল ও সিন্ডিকেট  চক্র ভেঙ্গে দিয়ে একটি নতুন কমিটি গঠন করেন, যার মাধ্যমে সাধারণ ব্যবসায়ীরা নির্ভয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে।


উল্লেখ্য যে ইতোমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পক্ষ  থেকেও একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো:আবুল হোসেন, সাহিদুল ইসলাম জয, গোলাম রাব্বানী রাজীব, মেহেদী হাসা, আলমগীর হোসেন।


মাদক ব্যবসায়ী যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়,তিনি পূর্বে দুই দুইবার গ্রেফতার হন ও কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে একই ব্যবসা এখনো পরিচালনা করছেন।
মো:আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে বর্তমানে সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টার এর দোকান ভাড়া চুক্তিপত্র ও ক্রয়-বিক্রয় সকল কাজের ক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকা নেয়। টাকা না দিলে পজিশন মালিকদেরকে ফোন দিয়ে বেশি ভাড়া আদায় করে  দিবেন বলে ঐ দোকানে নোটিশ করান এবং দোকান ক্রয়-বিক্রয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে। এই ছিল তার বিরুদ্ধে সাইদ গ্র্যান্ড সেন্টার এর অভিযোগ। 
পশ্চিম থানার অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় আসামি সাহিদুল ইসলাম জয় বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে প্রধান রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ, গাজীপুর মেয়র (জাহাঙ্গীর) এর, পিএস (সেক্রেটারি) সাইনবোর্ডে আইটি ব্যবসায়ী,গোপনে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জমিদখল। তার দোকানের কর্মচারীদের দিয়ে মাদক (ইয়াবা) ব্যবসা করায়। তার দুইজন কর্মচারী ৩০ হাজার ইয়াবার চালান সহ ২০২৩ সাল পুলিশ ও র‍্যাব সুন্দরবন কোরিয়ার সার্ভিস অফিস হইতে গ্রেফতার করেছে। 


আরো অভিযোগ করা হয় গোলাম রাব্বানী রাজীব এর বিরুদ্ধে রাজনীতিবিদ আওয়ামীলীগ (সিনিয়র-সভাপতি) মার্কেটে ব্যবসায়ীদের উপর জোর, জুলুম, অত্যাচার করত ও বাহিরের গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে সব সময় আতংকে রাখত। দোকান থেকে দ্রব্য নিয়ে মূল্য পরিশোধ করত না।
মেহেদী হাসান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে সুবিধাবাদী আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বর্তমানে বি,এন,পি।(সহ সেক্রেটারি) ব্যবসায়ীদের উপর প্রভাব খাটিয়ে দোকান উচ্ছেদ করে। নিজে দোকান ভাড়া নেয় ও পজিশন মালিকদের ভাড়া বাড়িয়ে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে তার স্বার্থ আদায় করে। কিছু দিন পর আবার ছেড়ে দেয়। এবংআলমগীর হোসেন রাজনীতিবিদ আওয়ামীলীগ (সহ সভাপতি)রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মার্কেটে তার ক্ষমতা বিস্তার করে ও বর্তমান সেক্রেটারির (জয়) চামচামি করে।


এই বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি এবং খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।