মুরাদনগরে কোরবানীর হাটে মাদক সচেতনতায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৩ জুন ২০২৫ ০৯:২২ অপরাহ্ণ   |   ৬০ বার পঠিত
মুরাদনগরে কোরবানীর হাটে মাদক সচেতনতায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ-

 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে মাদক সম্পর্কে গণ-সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের যুব সমাজ।

 

 

মঙ্গলবার (৩ জুন) পাঁচকিত্তা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠেকোরবানীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় মাদক সম্পর্কে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে নিজেদের এলাকাকে রক্ষার করতে এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। মাদক সম্পর্কিত সচেতনতায় "এই ঈদে মাদকের কোরবানী হোক, মাদককে না বলো,মাদক মুক্ত তারুণ্য চাই, "অসৎ সঙ্গে মেশায় ধরবে মাদক নেশায়, মাদক ব্যবসায়ী যেখানে, প্রতিরোধ হবে সেখানে, মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, দেশের যুব সমাজকে বাঁচান, ইয়াবা খাবে মেধাশূন্য হবে ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগানের ২৯টি ব্যানার ফেস্টুন হাটের রাস্তার পাশে লাগিয়ে এলাকায় বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তারা । তরুণদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।কোরবানীর হাটে পশু কিনতে আসা ক্রেতারাও তাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।

 

 

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের উদ্যোক্তা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রায়হান উদ্দিন, সজীব হাসান, মোঃ মাসুম সহ অন্যান্যরা  বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। দিন দিন সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই মাদক। মাদক সেবনের ফলে যুবকরা দ্রুত মৃত্যর দিকে ঝুঁকে পড়ছে। মাদকের জন্য টাকা পয়সা জোগার করতে তারা চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তারা আরও বলেন, সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে প্রতিটি পরিবারকে সচেতন হতে হবে। তাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় কখন কিভাবে কার সাথে মিশেছে তার খোজঁ খবর রাখতে হবে। আর সেই সচেতনতা তৈরি করার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ।

 

পাঁচকিত্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন,  মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয়। একটি পরিবার, সমাজ ও জাতিকে শেষ করে দেয়। তাই মাদককে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে তা নির্মুলে সবাই এগিয়ে আসতে হবে এবং সকলকেই সচেতন হতে হবে। যুব সমাজকে মাদকের করাল থাকা থেকে রক্ষায় এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমী সচেতনতামূলক উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। কোরবানীর পশুর হাটে এ ধরনের একটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ এর আগে কেউ নিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের একজন স্বেচ্ছাসেবী ওয়ান এগ্রো ফার্মের তরুণ উদ্যোক্তা তাজুল ইসলাম বলেন, আমার এলাকায় অনেক দেখেছি মাদকের জন্য সন্তান তার বাবা-মাকে অত্যাচার নির্যাতন করে। সেগুলো দেখ এলাকার মুরুব্বীদের সাথে পরামর্শ করে আমরা আমাদের যুব সমাজকে নিয়ে আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। সবার সহযোগিতা পেলে আশা করি মাদকের এই ভয়াবহতা থেকে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করতে পারব।

 

গরু কিনতে আসা ক্রেতা ফাহাদ ভূঁইয়া বলেন, মাদকের করাল থাবা থেকে যুব সমাজকে বাচাতে হলে সকলকে সম্মিলিতভাবে ভাবে কাজ করতে হবে। অভিভাবকের সচেতন হতে হবে। যারা মাদকের বিরুদ্ধে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন আমি তাদেরকে স্বাগত জানাই।