ঢাকা প্রেস নিউজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নির্দেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত শহীদ আব্দুল্লাহর গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি শহীদের পিতা আব্দুল জব্বারের সাথে সাক্ষাৎ করেন, পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সান্ত্বনা প্রদান করেন।
এ সময় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, “শহীদ আব্দুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার সংগ্রামে নিজের সম্ভাবনাময় জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার আত্মত্যাগে জাতি গর্বিত। আশা করি জাতি তাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এবং জাতীয় বীর হিসেবে মর্যাদা দেবে। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাকে শহীদের মর্যাদা দান করেন এবং তার পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দান করেন।”
তিনি আরও জানান, শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে থেকে তাদের সার্বিক সহায়তা করার জন্য জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমির মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, শার্শা থানা আমির রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা ইউসুফ আলী এবং ঝিকরগাছা থানা আমির মাওলানা আসাদুল আলম প্রমুখ।