চাল উত্তোলন কার্ড পেল সাবানা, ১৮ মাস চাল তুলেছে অন্য জন 

প্রকাশকালঃ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ ৪৩৪ বার পঠিত
চাল উত্তোলন কার্ড পেল সাবানা, ১৮ মাস চাল তুলেছে অন্য জন 

ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১৮ মাসের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) -এর বরাদ্দের চাল ফেরত চেয়ে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী। ওই নারীর নামে ইস্যু হওয়া কার্ডের কথা ১৮ মাস পর জেনেছেন তিনি। ততদিনে বিগত ১৮ মাসের চাল উত্তোলন হয়েছে কার্ডধারীর অজান্তে।

 

লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী ক‌মিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিন। তিনি জানান, এতদিন কার্ডটি কার কাছে ছিল সেটির খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সাবানা খাতুন। তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের হাটিথানা পুটিমারী এলাকার ফাইদুল ইসলামের স্ত্রী।

 

লিখিত অভিযোগ ও সাবানা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কার্ডটি করার জন্য প্রথমত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আদুরি আক্তারের স্বামী বিজু মিয়াকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সাবানা। কিন্তু এর পর বিজু বলেছেন কার্ড হয়নি। পরে বিভিন্ন সময় টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন, যেভাবে হোক একটি কার্ড দেবে। পরে ১৮ মাস পরে জানতে পারেন, সাবানার নামে ভিডব্লিউবি’র কার্ড ইস্যু হয়েছে। কিন্তু এই ১৮ মাসের চাল তার নামে কেউ টিপসই দিয়ে তুলে নিয়েছেন তত দিনে।

 

সাবানা খাতুন কার্ড সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সম্প্রতি দুই মাসের চাল তুলতে পেরেছেন। তবে তার দাবি বিগত ১৮ মাসের চাল ফেরত দিতে হবে তাকে।

 

ভুক্তভোগী সাবানা জানান, কার্ড সম্পর্কে বিজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘সাবানা নামের দুটি কার্ড পাশ হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ায় কার্ড দুটি আটকে রেখেছিল’। পরে বিজু মিয়া আমাকে ১৮ মাস পর কার্ড ফেরত দিয়েছে।

 

সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী বিজু মিয়াকে মোবাইল ফোনে কর দিলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলি।

 

থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, তিনি (সাবানা) যে ১৮ মাস থেকে চাল পায়নি এ নিয়ে আমাকে কখনো অভিযোগ দেয়নি। আর তিনি কীভাবে কার কাছে কার্ড পেল সেটিও জানা দরকার।