নরসিংদীতে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, মা গুরুতর আহত

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৩:৩৬ অপরাহ্ণ   |   ১০০ বার পঠিত
নরসিংদীতে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, মা গুরুতর আহত

ঢাকা প্রেস,নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:-

 

নরসিংদীর সদর উপজেলায় ঘরে ঢুকে সুমনা আক্তার তিথি (১৩) নামে এক মাদরাসাছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার মা আসমা বেগম (৪০) গুরুতর আহত হন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শেখেরচর-বাবুরহাট বাজার-সংলগ্ন মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহত দুজনই চা-দোকানি মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী ও মেয়ে।
 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নরসিংদী সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহতের স্বজনরা জানান, ঘটনার সময় গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বাড়ির পাশে তার চা ও পানের দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসায় ফেরেন। দ্বিতীয় তলায় উঠে স্ত্রী আসমা বেগম ও মেয়ে তিথিকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি চিৎকার করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং গুরুতর আহত আসমা বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
 

এদিকে, কিশোরী তিথিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে তাদের আরেক প্রতিবন্ধী সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন। পাশাপাশি সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।
 

গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন জানান, তাদের ছোট বাড়ির নিচতলা কাপড়ের দোকানের গুদাম হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। নিহত তিথি স্থানীয় একটি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তবে কে বা কারা এবং কী কারণে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

 

নরসিংদী সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, “এ হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তদন্তের মাধ্যমে এর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।”
 

এই মর্মান্তিক ঘটনার পেছনের কারণ উদঘাটন এবং অপরাধীদের শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।