নাহিদ ইসলাম তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, দেশের জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন করব। ইতিহাসের গণ্ডি পেরিয়ে আমরা এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের কথা বলতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘তুমি কে, আমি কে, বিকল্প, বিকল্প’ স্লোগানের প্রতিফলনেই আমাদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ। আমরা আজকের মঞ্চ থেকে শপথ নিচ্ছি—বাংলাদেশকে বিভাজিত করা যাবে না।”
এরপর নাহিদ ইসলাম দলীয় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যা সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘোষণাপত্রে বলা হয়:
জুলাই ২০২৪-এ ছাত্র-জনতার বিপুল আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে চলা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটে। তবে এটি শুধুমাত্র একটি সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং জনগণের অধিকারভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবির প্রতিফলন। সেই লক্ষ্যে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিচ্ছি, যা হবে একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল।
আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার সূচনা করেছে। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হবে:
আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হবে, যেখানে ন্যায়বিচার, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা হবে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি।
আমরা সবাই একসঙ্গে, হাতে হাত রেখে, সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাব। আমাদের দেশ, আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ—এই প্রতিজ্ঞার ওপর ভিত্তি করেই আমরা এগিয়ে চলব। এখনই সময় নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার!