*রাজউকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ ভবন নির্মাণ: ডেমরায় উদ্বেগ*

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:১৮ অপরাহ্ণ   |   ২০০ বার পঠিত
*রাজউকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে অবৈধ ভবন নির্মাণ: ডেমরায় উদ্বেগ*

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ


 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর নীতিমালা লঙ্ঘন করে রাজধানীর ডেমরা থানার মৃধা ভবনের মালিক ইন্তেখার আলম ও তার মাতা আরিফা বেগম নকশাবিহীন ও বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাজউক একাধিকবার নোটিশ প্রদান করলেও ভবন মালিকরা তা উপেক্ষা করে অবৈধ নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। 
 

*অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের ঝুঁকি*  
মাতুয়াইল মৌজার ডেমরা থানাধীন এই ভবনটি নকশাবিহীন ও বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২-এর সংশোধনী এবং এর ৩(খ) ধারা অনুযায়ী, ভবন নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ৪০ শতাংশ জমি খালি রাখা বাধ্যতামূলক। তবে ভবন মালিক এই নিয়ম মানছেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই ভবনে তিতাস গ্যাসের সংযোগসহ নানা ধরনের অনিয়ম রয়েছে, যা যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
 

*রাজউকের তৎপরতা ও আইন লঙ্ঘন*  
রাজউক সূত্রে জানা যায়, ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ ও অ্যাকশন নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তবে ভবন মালিক কোনো জবাব দিচ্ছেন না এবং নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন। আরিফা বেগম একজন সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও রাজউকের নোটিশ অবজ্ঞা করে আইন লঙ্ঘন করছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

 

*স্থানীয়দের প্রতিবাদ ও উদ্বেগ*  
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নকশাবিহীন এই ভবনে বসবাসকারী এবং আশেপাশের বাসিন্দাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাশের এক ভবনের মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "রাজউক একাধিক নোটিশ দিয়েও ভবন মালিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। এতে এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।" 

 

*ভবন মালিকের বক্তব্য*  
এ বিষয়ে আরিফা বেগমের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, "আমি জানি না আমার স্বামী নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। তিনি মারা যাওয়ার পর আমরা কিছু বলতে পারছি না।" এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের নিউজ না করার অনুরোধ করেন। 

 

*স্থানীয়দের দাবি*  
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, অবিলম্বে এই অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নইলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা শত শত মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবে। 

 

রাজউক এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাজধানীতে আগুনের ভয়াবহতা রোধে কাজ করলেও মৃধা গলিতে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযান চোখে পড়েনি। এতে অসাধু ভবন মালিকরা আরও উদ্ধত হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 
 

এই পরিস্থিতিতে রাজউকের কঠোর পদক্ষেপ ও দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।