বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, শেখ তন্ময়সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৪৪ অপরাহ্ণ   |   ৯৯ বার পঠিত
বাগেরহাটে সাবেক এমপি শেখ হেলাল, শেখ তন্ময়সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি:-

 

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, বোমা নিক্ষেপ ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, রফিকুল ইসলাম মিঠু নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
 

মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মীর শওকত আলী বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, সাধারণ সম্পাদক ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সরদার নাসির উদ্দিন, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সচিব ফিরোজুল ইসলাম জোমাদ্দার, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাস, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ (সাহেব মল্লিক), ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল হাসান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বসিরুল ইসলাম, শামীম আহসান, মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, দুলাল আকন, আব্দুল কাদের সরদার, হুমায়ুন কবির পলি, সুমন রাহি, মো. ফারুক হোসেন বাদল, দোলন মোল্লা, মমিনুল হক আকাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান সুলতান ওশান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান নাজমা সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন লিটন, ফারুক তালুকদার, এবং নকিব নজিবুল হক নজু।
 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে আসামিরা গত ৪ আগস্ট, ২০২৪, দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি গোলচত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে। এ সময় ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়, আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ করা হয় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি ছোড়া হয়।
 

এছাড়াও, সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান, তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকাকালীন, ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। "একটি ব্যালট-একটি বুলেট" ইত্যাদি বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি আসামিদের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
 

ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আলমগীর কবির জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও, কিছু আসামি বিভিন্ন মামলায় কারাগারে রয়েছেন এবং তাদেরকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।