ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে জেকে বসেছে শীত। সেই সাথে হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, লঘুচাপের কারণে আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশার উপস্থিতি বাড়ছে। সেই সাথে ধেয়ে আসা শীতল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। লঘুচাপ সরে গেলে তাপমাত্রা আরও নিম্নগামী হয়ে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
হিমালয়ের কাছাকাছি সীমান্ত ঘেঁষা এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় শীতের তীব্রতাও এখানে বেশি থাকে। শীতের স্থায়িত্বও থাকে বেশি দিন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলার জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটেখাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
জেলা সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, তীব্র শীতের কারণে ৪-৫ দিন ধরে ট্রলি চালানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। ঠাণ্ডা বাতাসে কাপড় ভেদ করে শরীরে লাগে। ঠাণ্ডার কারণে কাম কাজও কমে গেছে আয়ও নাই।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক মোজাম্মেল হক বলেন, "ঠাণ্ডায় হাত পা অবশ হওয়ার মতো অবস্থা। জমিতে হিম জমে থাকায় কাজ করা খুবই অসুবিধা হচ্ছে। শীত বস্ত্রের অভাবে খুবই কষ্টে আছি।"
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।