বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০২:১৩ অপরাহ্ণ   |   ৩৩ বার পঠিত
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য: পরিবেশ উপদেষ্টা

“আমরা চাই বৈষম্যহীন সমাজ, যেখানে রাজনীতি মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করবে।” পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শনিবার এই মন্তব্য করেন।
 

তিনি রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের এক্সপো ভিলেজে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবর্তন ২০২৫-এ বক্তব্যের সময় বলেন, সমাজে নেতিবাচক প্রচারণা বাড়ছে; তাই সতর্ক থাকা জরুরি। বাংলাদেশের সমস্যাগুলো গভীর, এক-দুই বছরে সব সমাধান সম্ভব নয়। তিনি যোগ করেন, ভালো প্রজন্ম গঠনে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে হলে নিজেদের মধ্যেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। অতীতের অন্যায় ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানুষের স্বপ্নই বহুবার সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
 

উপদেষ্টা আরও বলেন, মানবিক, পরিবেশ সচেতন ও নারীবন্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, সচেতন না হলে ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানরা চিরচেনা বাংলাদেশের মানচিত্র দেখবে না। তবে বায়ুদূষণ, বনধ্বংস ও নদী দূষণের মতো সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। ধাপে ধাপে সমাধান করলে পরিবর্তন আসবে। ইতোমধ্যে নদী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে আইন ও নীতির সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান, যা যথাযথ সহযোগিতা পেলে আরও গতিশীল হবে।
 

প্রাণীকল্যাণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ধর্মও আমাদের প্রাণীর প্রতি দয়া দেখানোর শিক্ষা দেয়। মানবিক সমাজ গড়তে হলে প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি সদয় হতে হবে।
 

সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব নিতে হবে, সমাজের জন্য ভাবতে ও কাজ করতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে, স্বপ্ন দেখতে হবে এবং মানবতার সেবায় এগিয়ে যেতে হবে।
 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারাহনাজ ফিরোজ, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া এবং রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আব্দুল মতিন।
 

সমাবর্তন ২০২৫-এ ৫টি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ থেকে মোট ১,৪০৭ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ সিজিপি অর্জনকারী ৫টি অনুষদের ১০ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং আরও ৪০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

সূত্র: বাসস