কুমিল্লা মহানগরের সদ্য ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়ক কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে আন্দোলনে যুক্ত একাংশ। তারা নিজেদের বঞ্চিত দাবি করে নতুন একটি কমিটি গঠন করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে কুমিল্লা মহানগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্র ঘোষিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এসময় তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগানও দেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সৈয়দ আজহারুল আমিন বলেন, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমি সমন্বয়ক ছিলাম। এখন ঘোষিত কমিটিতে আন্দোলনে জীবন বাজি রাখা কাউকেই দেখি না। আমরা যারা আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলাম, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।"
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নতুন কমিটির ঘোষণাও দেন। সৈয়দ আজহারুল আমিনকে আহ্বায়ক এবং ফাতিন ইশরাক মোল্লাকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিতে তালহা জোবায়েরকে মুখ্য সংগঠক ও নাইমুজ্জামানকে মুখপাত্র করা হয়েছে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী তালহা জোবায়ের, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইমুজ্জামান, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কলেজের গাজী মো. মুইনুদ্দিন ফাহিম, আসলাম সিদ্দিকী, নাজমুল নাদিম, মাহমুদুল সিফাতসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, একই দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় কমিটি কুমিল্লা মহানগরের ১৯৭ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটির ঘোষণা দেয়।