রংপুরে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে তারাগঞ্জ, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে এবং ডাল ভেঙে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির কারণে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর নগরীতেও গাছপালা ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল এবং ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, ঝড়ে কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।