ফেনী সংবাদদাতা:-
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু আশা প্রকাশ করে বলেছেন, যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হয়, তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, “ফেনীর নির্বাচনী ইতিহাস সবারই জানা। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, ইনশাআল্লাহ বিএনপি জয়ী হবে। ফেনীর নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো উদ্বেগ নেই।”
বুধবার দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মিন্টু জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে লন্ডনে আলোচনা শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হওয়ার কথা রয়েছে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কারণ, কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে একটি মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
তিনি বলেন, “যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহাল হয়, তাহলে বর্তমানে প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী সরকারই সেটির রূপ নিতে পারে। সংবিধান অনুযায়ী, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।”
সরকারের জবাবদিহিতার অভাব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে কোনো সরকার ভালো কাজ করতে পারে না। আমরা গত ১৯ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি, নানা নির্যাতন-অত্যাচার সহ্য করেছি। কেউ যদি বলেন বিএনপি হঠাৎ নির্বাচন চায়, তা সঠিক নয়। বরং আমরা ২০০৬ সাল থেকেই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না। ২০০৬ সালের পর দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। দুই দশক ধরে যদি একটি দেশের নির্বাচিত সরকার না থাকে, তাহলে জনগণের জীবনমান বা অর্থনীতির উন্নয়নও থেমে যায়। কারণ একটি দায়বদ্ধ সরকার ছাড়া দেশ কখনোই সঠিক পথে এগোতে পারে না।”