ঢাকা প্রেস নিউজ
দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না এবং চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাশ করার দাবি। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও অংশ নিয়েছেন।
কর্মসূচির ঘোষণা শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সোমবার একাডেমিক শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) হাইকোর্ট অভিমুখে লংমার্চের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে, দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টিসহ চার দফা দাবিতে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় বিক্ষোভ করেছিলেন। সরকারের আশ্বাসে আপাতত তারা আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন। তবে এবার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
বিক্ষোভ ও অংশগ্রহণকারী কলেজসমূহ আজ রবিবার ‘সাধারণ মেডিকেল শিক্ষার্থী’ ব্যানারে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি ১. এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না। বিএমডিসির নিবন্ধন কেবল এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের জন্য সীমিত রাখতে হবে এবং ম্যাটসদের নিবন্ধন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০,০০০ চিকিৎসক নিয়োগ দিতে হবে এবং বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সব ধরনের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এবং নিম্নমানের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ‘উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার’ পদবি বাতিল করে ‘মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন কার্যকর করতে হবে।
আন্দোলনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাতির হোসেন বলেন, ‘এমবিবিএস এবং বিডিএস ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবেন না—এই আইন বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা রিট করেছি। বিষয়টি নিয়ে ৯০ বার শুনানি হয়েছে, কিন্তু এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানি হওয়ার কথা, আমরা চাই সেদিনই এটি নিষ্পত্তি হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো আদায়ে আগামীকাল সোমবার একাডেমিক শাটডাউন এবং পরদিন ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট অভিমুখে লংমার্চ করবো।’