নারায়ণগঞ্জের আলোচিত হাসিনা রহমান শিমুর রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন: বিতর্ক ও সমালোচনা

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৯ মে ২০২৫ ০৭:৪৯ অপরাহ্ণ   |   ১১২ বার পঠিত
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত হাসিনা রহমান শিমুর রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন: বিতর্ক ও সমালোচনা

বিশেষ প্রতিনিধি (নারায়ণগঞ্জ):-

 

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির আলোচিত এক নাম হাসিনা রহমান শিমু। এক সময়ের আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এই নারী নেত্রী বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন—এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর বিতর্ক চলছে।
 

সূত্র মতে, বিগত সময়ে শিমুর ঘনিষ্ঠতা ছিল নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সঙ্গে। তার সহায়তায় তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় তিনি বিভিন্ন সরকারি অনুদান ও রাজনৈতিক অনুকূলতা ব্যবহার করে অর্থ ও সম্পদের মালিক হন। ‘আনন্দধাম’ এবং ‘হাসিনা অটিজম চাইল্ড কেয়ার’ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি সহায়তা গ্রহণ করে তহবিলের অপব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
 

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি নিজের পরিচিতি গড়ার জন্য সাংবাদিক পরিচয়ও নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রভাবশালী নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে নানা সুবিধা আদায় করেছেন এবং ব্যক্তিগত সম্পর্ককে রাজনৈতিক লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
 

বর্তমানে রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর, শিমু বিএনপি ঘনিষ্ঠ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তিনি সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খানের সাথে দেখা করেছেন, যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। অতীতে আওয়ামী লীগপন্থী নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও বর্তমানে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন তার রাজনৈতিক অভিপ্রায় নিয়ে সন্দেহ তৈরি করেছে।
 

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে, অতীতে যিনি ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় ছিলেন, তিনি হঠাৎ করে রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে কী উদ্দেশ্যে বিরোধী দলে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন? কেউ কেউ বলছেন, এটি কৌশলী রূপান্তর, আবার কেউ বলছেন—এটি রাজনৈতিক চতুরতা।
 

সচেতন মহল মনে করেন, রাজনীতি এবং জনসেবা একটি পবিত্র দায়িত্ব, সেখানে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অবস্থান পরিবর্তন কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রতি জনআস্থা কমিয়ে দেয়।
 

অন্যদিকে বিএনপির কিছু নেতাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তারা মনে করেন, যাঁরা অতীতে রাজনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করে অপব্যবহার করেছেন, তাঁদের ব্যাপারে দলেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।
 

স্থানীয় বাসিন্দারা শিমুর অতীত কর্মকাণ্ড তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।