বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানি শেষ করে মামলাটি সিএভি (রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ) রেখেছেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ, আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সংঘটিত এই বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জন নিহত হন, পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। হামলার পরপরই রাজধানীর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তী তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার বিচারিক আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে।
বিচারিক আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)-এর শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—
✅ মুফতি আব্দুল হান্নান (যার মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে)
✅ মাওলানা আকবর হোসেন
✅ আরিফ হাসান সুমন
✅ মাওলানা তাজউদ্দিন
✅ হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর
✅ মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার
✅ মাওলানা আবদুল হাই
✅ মাওলানা শফিকুর রহমান
বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে এবং আসামিরা জেল আপিল দায়ের করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রেখেছে।
হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হলেও বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।