নেপালকে হারানোর দিনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডট দেয়ার রেকর্ড গড়েছেন টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তাছাড়া সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারও এখন এ পেসারের
৪-৭ ও ৩-৭ এই সিঙ্গেল ডিজিট দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। এগুলো নেপালের বিপক্ষে তানজিম সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ফিগার। এই দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০৬ রানের অল্প পুঁজি নিয়েও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে বাংলাদেশ।
যদিও একটা সময় ম্যাচ হাত থেকে ফসকে যাচ্ছিল টাইগারদের। তখনই দৃশ্যপটে হাজির কাটার মাস্টার। নিজের শেষ ও ইনিংসের ১৯তম ওভারে শুধু উইকেট মেডেনই নেননি, সেই সঙ্গে ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতে মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি। ৪ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মোস্তাফিজকে নিয়ে হয়েছিল যত সমালোচনা। তবে আইপিএলে গিয়ে নিজেকে বদলে ফেলেন ফিজ। অথচ তার আইপিএল খেলা নিয়ে সমালোচনায় মেতেছিলেন খোদ বিসিবির প্রভাবশালী কর্তারা। তবে তা ভুল প্রমাণ করে বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচে ২২ গজে সমালোচনার জবাব দিচ্ছেন ফিজ।
তবে নেপালের ব্যাটারদের দুঃস্বপ্নের শুরুটা করেন তানজিম সাকিব। তার ম্যাজিকাল স্পেলেই ভেঙে যায় নেপালের ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড। ৪ ওভারে ৪ উইকেট নিয়ে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন এই পেসার। ঝুলিতে আছে দুটি মেডেনও। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ফিগার। এর আগে ২০১৬ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। যদিও সেই ম্যাচটি হারতে হয়েছিল টাইগারদের।
ডট বলেও নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তানজিম-ফিজ জুটি। এই দুই বোলারের ৮ ওভারের স্পেলে ৪৮ বলের মধ্যে রান আসেনি ৪১ বলে। আর পুরো ইনিংসে বাংলাদেশের বোলাররা ডট বল করেছে ৮০টি।
এদিকে একাই ২১ ডট দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডট দেয়ার রেকর্ড গড়েছেন তানজিম সাকিব। এর আগে সর্বোচ্চ ২০ ডট দেয়ার রেকর্ড আছে ৯ বোলারের। নেপালের বিপক্ষে ২০ ডট দিয়ে অবশ্য সংখ্যাটা দশে নিয়ে গেছেন ফিজ। যার আটটিই চলমান আসরের।