সংবিধানের নতুন রূপ: ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ ও পাঁচ মূলনীতি প্রস্তাব

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৫৭ অপরাহ্ণ   |   ৪৯৯ বার পঠিত
সংবিধানের নতুন রূপ: ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ ও পাঁচ মূলনীতি প্রস্তাব

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন একগুচ্ছ সুপারিশসহ আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এতে সরকার পরিচালনার সাংবিধানিক নাম এবং মূলনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতির মধ্যে তিনটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কেবল ‘গণতন্ত্র’ বহাল রেখে নতুন চারটি মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং বহুত্ববাদ—সংযুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ এর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ এবং ‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

 

বর্তমানে সংবিধানে চারটি মূলনীতি রয়েছে: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। এই মূলনীতিগুলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ১৯৭২ সালের সংবিধানের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। তবে কমিশনের মতে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের আদর্শ এবং সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষার আলোকে নতুন মূলনীতিগুলো বেশি প্রাসঙ্গিক।

 

ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদ—এই তিনটি মূলনীতি এবং সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ (৮, ৯, ১০ ও ১২) বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট আয়োজন এবং দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালুর সুপারিশও রয়েছে।

 

সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়াও আরও তিনটি কমিশন—নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কার কমিশন—তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে।

 

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। ফেব্রুয়ারি মাসে এই আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছে প্রস্তাবিত সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে বলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।